শিশু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আলোর হাতছানি, পড়াশোনা চলবে ফ্রি

ড় হয়ে তুমি কী হতে চাও? সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে সুবিধাবঞ্চিত অনগ্রসর পরিবার থেকে আসা এক শিশুর উত্তর—আমি ইঞ্জিনিয়ার হব। পরক্ষণেই হাত উঁচিয়ে অন্যজন বলল—স্যার আমি ইসলামিক স্কলার হব। ‘আর তুমি?’ জিজ্ঞেস করতেই এক শিশু উত্তর দিল—আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাই। অথচ কদিন আগেও যাদের জীবন ছিল ধূসর, বিবর্ণ। আর ভবিষ্যৎ ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন।

চার হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জীবন বদলে দেওয়ার প্রত্যয়ে সাভারের আশুলিয়ার ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে গড়ে উঠেছে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (ডিআইএসএস)। সেখানেই আজ সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু কথা বলছিলেন ফেরদৌস, আহাদ, শামীম, খালেদদের মতো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে। দিনটি তাই তাদের জন্য ছিল অন্যরকম।

ভারতের ওডিশায় (পুরোনো নাম উড়িষ্যা) লোকসভার সদস্য ও ড. অচ্ছুত সামন্তের প্রতিষ্ঠিত খ্যাতনামা কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের (কিস) আদলে ডিআইএসএস গড়ে তুলেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইউনিভার্সিটিজ অব এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এইউএপি) সভাপতি মো. সবুর খান।

 

 

চার হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জীবন বদলে দেওয়ার প্রত্যয়ে সাভারের আশুলিয়ার ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে গড়ে উঠেছে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (ডিআইএসএস)। সেখানেই আজ সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু কথা বলছিলেন ফেরদৌস, আহাদ, শামীম, খালেদদের মতো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে। দিনটি তাই তাদের জন্য ছিল অন্যরকম।

ভারতের ওডিশায় (পুরোনো নাম উড়িষ্যা) লোকসভার সদস্য ও ড. অচ্ছুত সামন্তের প্রতিষ্ঠিত খ্যাতনামা কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের (কিস) আদলে ডিআইএসএস গড়ে তুলেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইউনিভার্সিটিজ অব এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এইউএপি) সভাপতি মো. সবুর খান।

 

ডিআইএসএস প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর নাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের স্লোগান, প্রতিটি শিশুর জীবন হোক আলোকিত–তাদেরও আছে অধিকার, জীবন গড়ার। মূল্যবোধ এবং সম্মানের সঙ্গে শিশুদের গড়ে তোলার বিষয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠাতা মো. সবুর খানের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফসল ডিআইএসএস।’

জাহাঙ্গীর নাকির হোসেন বলেন, ‘এখানে কেজি থেকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ থাকবে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত। বলতে পারেন—কেজি টু পিজি। কেবল লেখাপড়াই নয়, ডিআইএসএসের সব ছাত্রছাত্রীর জন্য থাকা, খাওয়া, বিনোদন, খেলাধুলা, স্বাস্থ্যসেবা—সবকিছুই ফ্রি। কম্পিউটার ল্যাব, কনফারেন্স ল্যাব, ওয়াইফাই সিস্টেম—কোনো কিছুরই অভাব নেই এখানে। একটু সহযোগিতা আর সত্যিকার ভালোবাসা নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ালে তারা দেশকে কতটা বদলে দিতে পারে, সেটাই বাস্তবে রূপ দিতে বদ্ধপরিকর ডিআইএসএস।’

ডিআইএসএস প্রতিষ্ঠাতা মো. সবুর খান বলেন, ‘আধুনিকভাবে ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর নির্মিত হবে ড্যাফোডিল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজে অধ্যায়নের সময়েই উচ্চশিক্ষার জন্য কেবল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিই নয়, তাদের জন্য কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির (কেআইআইটি বা কিট) দুয়ার খুলে দিয়েছেন টাইমস অব ইন্ডিয়ার আইকন অব ওডিশা, সর্বভারতে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়ার রেকর্ড সৃষ্টিকারী ড. অচ্ছুত সামন্ত।’

মো. সবুর খান বলেন, ‘আমরা ভালো কিছু করার প্রত্যাশায় যাত্রা শুরু করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিবছর ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সেসের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ১০ থেকে ১৫ জনকে কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজিতে নিখরচায় থাকা-খাওয়া এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন ড. অচ্ছুত সামন্ত। আমাদের এই প্রকল্প চালুর মাধ্যমে, সুশিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা হবে

Search